আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন আর অনেক ভাল আছেন। আজকে নিয়ে হাজির হলাম এডভান্সড সিস্টেম কেয়ার আল্টিমেট ৬.০ নিয়ে। এডভান্সড সিস্টেম কেয়ার এর নাম শোনেননি বা ব্যবহার করেননি এমন লোক খুজে পাওয়া দুষ্কর। আর এই সফট্ওয়্যারের আগের সংষ্করণের নাম ছিল "এডভান্সড সিস্টেম কেয়ার উইথ এন্টিভাইরাস"। এটি একাধারে পিসি পারফর্ম্যান্স বুস্টার, সিস্টেম বুস্টার আর এন্টিভাইরাস। এটি উইন্ডোজ ৭ এর সাথে উইন্ডোজ ৮ এও সাপোর্ট করে।
কি কি আছে এই একটি মাত্র সফট্ওয়্যারএর মধ্যে?
উইন্ডোজ এর রক্ষনাবেক্ষনঃ
- ১.স্পাই ওয়্যার রিমুভাল [স্ক্যান করে কম্পিউটার থেকে স্পাই ওয়্যার ও এ্যাড ওয়্যার রিমুভ করে]
- ২.রেজিস্ট্রি ফিক্স [রেজিস্ট্রি ক্লিন করে পিসি-র কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে]
- ৩.প্রাইভেসি সুইপ [কম্পিউটারের এবং ব্রাউজারের হিস্ট্রি রিমুভ করে]
- ৪.জাঙ্ক ফাইল ক্লিন করে ড্রাইভের জায়গা বাড়ায়।
টিউন-আপ (উইন্ডোজের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির এ্যাডিশনাল কিছু টুল)
- ১. ডিস্ক ক্লিনার
- ২. ডিস্ক ডক্টর
- ৩. ফাইল শেডার
- ৪. গেম বুস্টার
- ৫. ইন্টারনেট বুস্টার
- ৬. স্মার্ট ডিফ্রাগমেন্টার
- ৭. নেটওয়ার্ক মনিটর
- ৮. রেজিস্ট্রি ডিফ্রাগ
- ৯. স্মার্ট র্যাম (র্যামের স্পেস বৃদ্ধি করে)
- ১০. সর্টকাট ফিক্সার
- ১১. আর IObit security 360
নিরাপত্তার জন্য আছেঃ
- ১. ড্রাইভার ব্যাকআপ
- ২. IE সিকিউরিটি এ্যাসিস্টান্ট
- ৩. সিস্টেম ব্যাকআপ
- ৪. সিস্টেম ফাইল চেকার
এ্যাডমিন টুল হিসেবে আছেঃ
- ১. অটো শাট ডাউন
- ২. ক্লোনড ফাইল ফাইন্ডার
- ৩. কন্টেক্সমেনু ম্যানেজার
- ৪. ডিস্ক এক্সপ্লোরার
- ৫. রিস্টোর সেন্টার
- ৬. IObit আন ইন্সটলার
- ৭. স্টার্ট আপ ম্যানেজার
- ৮. সিস্টেম ইনফরমেশন
- ৯. উইন্ডোজ ম্যানেজার
আরও আছেঃ
- ১. সিস্টেম অপটিমাইজেশন (সিস্টেম রিপেয়ার ও অপ্টিমাইজ করে)
- ২. সিকিউরিটি ডিফেন্স (কম্পিউটারে ক্ষতিকর স্পাইওয়্যার ইন্সটল হওয়া থেকে বিরত রাখে)
- ৩. ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট
- ৪. সিকিউরিটি এনালাইজার (উইন্ডোজের হাইজ্যাকড সেটিংস পুনরুদ্ধার করে)
সেই সাথে পুর্ন ফিচারের এন্টিভাইরাসঃ যা আপনাকে একই সাথে দেয় সব ধরনের ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষা। এটি আপনার ইন্টারনেট নিরাপত্তাও বিধান করে।
দেখে নিন তাদের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে প্রদত্ত জনপ্রিয় এন্টিভাইরাসের সাথে কম্পারিজন।
এই সফট্ওয়্যারের মূল্য ২৯.৯৯ ইউএস ডলার। তবে আপনি এই টিউনের সাথে পাচ্ছেন আগামী ১৮০ দিনের জেনুইন লাইসেন্স।
প্রথমে এই লিঙ্কে গিয়ে ট্রায়াল সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন। (৫৯.৯ মেগা বাইট)
এখান থেকে লাইসেন্স নিয়ে নিন।
লাইসেন্স এক্টিভ করার সময় ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট করার কোন প্রয়োজন নেই।
আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই আশা বাদ ব্যক্ত করে বিদায় নিচ্ছি। রসদ পেলে শীঘ্রই আবার টিউন নিয়ে হাজির হব। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
******প্রবাসী ভাই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এই আবদার আমি আপনার কাছে রাখছি, যদি টিউনটি পড়ে থাকেন তবে আপনার কাছে অনুরোধ নয় ছোট ভাই হিসেবে আবদার করছি ফিরে আসুন আপনার সফটওয়্যারের সাম্রাজ্য নিয়ে******
Post a Comment